সোমবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৫, ০৩:১৬ পূর্বাহ্ন

দৃষ্টি দিন:
সম্মানিত পাঠক, আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছি। প্রতিমুহূর্তের সংবাদ জানতে ভিজিট করুন -www.coxsbazarvoice.com, আর নতুন নতুন ভিডিও পেতে সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল Cox's Bazar Voice. ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে শেয়ার করুন এবং কমেন্ট করুন। ধন্যবাদ।

বদির বিরুদ্ধে দুদকের মামলার অভিযোগ গঠনের মধ্যদিয়ে বিচারকাজ শুরু

ভয়েস নিউজ ডেস্ক:

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় কক্সবাজার-৪ আসনের সাবেক সাংসদ আবদুর রহমান বদির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। আগামী ১৫ অক্টোবর এই মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ ধার্য করা হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে এই মামলার বিচারকাজ শুরু হলো।

আজ রোববার দুপুর ১২টার দিকে চট্টগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ মো. ইসমাইল হোসেনের আদালতে বদির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। পরে আদালত সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ ধার্য করেন।

আদালত সূত্র জানায়, অভিযোগ গঠনের শুনানি শুরুর আগে বদি চট্টগ্রাম আদালত ভবনের চতুর্থ তলায় জেলা ও দায়রা জজ আদালতের এজলাসে আসেন। শুনানি শুরুর পর আসামির কাঠগড়ায় দাঁড়ান তিনি। এ সময় তাঁর আইনজীবী তাঁকে নির্দোষ দাবি করে মামলা থেকে অব্যাহতির আবেদন করেন।

বদির আইনজীবী রফিকুল ইসলাম আদালতকে বলেন, ষড়যন্ত্রমূলকভাবে তাঁর মক্কেলকে এই মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। একই সঙ্গে অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য সময় প্রার্থনা করেন তিনি।

অন্যদিকে বদির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে এই মামলার বিচারকাজ শুরুর জন্য আদালতে আবেদন করেন দুদকের আইনজীবী কাজী সানোয়ার হোসেন লাভলু। তিনি আদালতকে বলেন, দুদকের অনুসন্ধান ও তদন্তে বদির তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের প্রমাণ পাওয়া গেছে। তাঁকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। তাই তাঁর (বদি) আইনজীবীর করা আবেদনও বাতিল করা হোক।

উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত বদির আইনজীবীর করা আবেদন নামঞ্জুর করেন। পরে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। এ সময় বিচারক বদিকে তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ পড়ে শোনান। তখন বদি নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন।

দুদক সূত্র জানায়, ৪৩ লাখ ৪৩ হাজার ৯৯৪ টাকার তথ্য গোপন এবং ৬৬ লাখ ৭০ হাজার টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৭ সালে বদির বিরুদ্ধে মামলাটি করে দুদক। পরের বছর তদন্ত শেষে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। পরে বদি উচ্চ আদালত থেকে স্থগিতাদেশ নিয়ে এলে মামলাটির কার্যক্রম স্থগিত থাকে। এই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করলে দীর্ঘদিন পর ২০১৭ সালে মামলাটি সচল হয়।

দুদকের আইনজীবী সানোয়ার হোসেন লাভলু জানান, আগামী ১৫ অক্টোবর থেকে এই মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হবে। মামলাটি চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। কিন্তু সেখানে বিচারক না থাকায় ভারপ্রাপ্ত বিচারক হিসেবে জেলা ও দায়রা জজ ইসমাইল হোসেন মামলাটি পরিচালনা করছেন। সুত্র: প্রথম আলো।

ভয়েস/আআ

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2023
Developed by : JM IT SOLUTION